উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কিংবা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নাই। স্বাস্থ্যকর খাবার একটি কার্যকারী ও প্রাথমিক চিকিৎসা। তাই আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বেশি বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিৎ। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলিতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আর্টিকেলে আমরা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার গুলো আপনাদের সুবিধার্থে আলোচনা করেছি। জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কিছু নতুন খাদ্যাভ্যাস আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর জন্য খাদ্যের ক্যালোরি এবং পরিমাণ গণনা করে খাবার খেতে হবে। এখানে উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সহায়ক খাবার গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল।
- বেশি পরিমাণে মাছ, বাদাম এবং সিম ও মটরশুঁটি খেতে হবে।
- চিনিযুক্ত বা নোনতা খাবার পরিবর্তন করে, শাকসবজি এবং ফল বেশি করে খাবেন।
- পাউরুটি, পাস্তা এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন করুন যা অত্যন্ত পরিশোধিত সাদা আটার পরিবর্তে পুরো শস্য থেকে তৈরি হয়।
- শুধু ফলের রস না খেয়ে ,পুরো ফল খেতে হবে।
- মাখন, নারকেল তেল বা পাম-কার্নেল তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল, সয়াবিন, চিনাবাদাম, ভুট্টা বা কুসুম তেলের মতো অসম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ব্যবহার করুন।
- টিনজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে তাজা বা হিমায়িত খাবারের উপর নির্ভরতা বাড়ান।
- যখনই সম্ভব কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার বেছে নিন; লবণের পরিবর্তে ভেষজ, মশলা, ভিনেগার এবং অন্যান্য কম-সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ব্যবহার করুন।
- যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন যা খান তা একটি খাতায় সংরক্ষণ করুন। এই তথ্যটি একজন ডায়েটিশিয়ান দ্বারা পর্যালোচনা করুন যে খাবারের নিয়ম এবং মেন্যু ঠিকঠাক আছে কিনা।
উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত শর্করা খাবার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে খুব ভালো অবদান রাখতে পারে। তাই, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত মাংস সীমিত পরিমাণে খাওয়া এবং যদি সম্ভব হয় তবে এড়ানো উচিৎ হবে। সামগ্রিকভাবে, একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য শরীরের আদর্শ ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ কমানো এবং অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করা উচিৎ হবে।
আরও পড়তে পারেন… হার্ট অ্যাটাক এ গুরুত্বপূর্ণ ১৩ খাবার |