আর্টিকেলটিতে যে সব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে...
বর্তমান সময়ে এসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। অনিয়মিত ভাবে খাওয়া দাওয়া করা, ভাজাপোড়া খাওয়া, তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া সহ নানা কারণে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন ছেলে-বুড়ো সহ প্রায় সবাই। এসিডিটির লক্ষণ হিসেবে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করা, পেট ফাঁপা, এবং বদহজম এর মতো সমস্যা দেখা যায়। এসিডিটির সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজতে গিয়ে বেশীর ভাগ মানুষই দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু প্রথম দিকে ওষুধ ভালো কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে ওষুধ এর কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। আর সে কারনেই এসিডিটি দূর করার উপায় নিয়ে আমরা এই তথ্য পূর্ণ আর্টিকেলটি সাজিয়েছি শুধুমাত্র আপনার জন্য! এসিডিটি দূর করার সেরা উপায় গুলো জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে ভুলবেন না!
এসিডিটি কি?

স্টোমাকের প্রবেশপথে মাংশ পেশীর বলয় সদৃশ একটি ভালভ রয়েছে, যাকে লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার (LES) বলে। সাধারণত, খাবার এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার (LES) বন্ধ হয়ে যায়।
যদি লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার (LES) পুরোপুরি বন্ধ না হয় এবং এটি খুব ঘন ঘন খোলে, তবে আপনার স্টোমাক বা পাকস্থলী দ্বারা উত্পাদিত এসিড আপনার খাদ্যনালীতে প্রবেশ করতে পারে।
এটি বুক জ্বালাপোড়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে যাকে এসিডিটি বা অম্বল বলা হয়। যদি এসিড রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলি সপ্তাহে দুবারের বেশি ঘটে তবে আপনার এসিড রিফ্লাক্স রোগ হতে পারে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) নামেও পরিচিত।
আমেরিকান কলেজ অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বলছে যে ৬০ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান মাসে অন্তত একবার এসিডিটি বা অম্বল অনুভব করেন এবং কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন প্রায়ই প্রতিদিনই এসিডিটির সম্মুখীন হন।
GERD পশ্চিমা দেশগুলিতে খুবই সাধারণ সমস্যা, যা আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘস্থায়ী এসিডিটির সমস্যা গুরুতর জটিল রোগের কারণ হতে পারে। সুতরাং দীর্ঘ মেয়াদে এসিডিটি রোগ না পুষে এটি দূর করার উপায় গুলো জানা সত্যিই খুব জরুরি।
এসিডিটি হওয়ার কারণ কি কি?

এসিডিটি দূর করার উপায় জানার আগে এটা জানা জরুরি যে এসিডিটি কেন হয়? আসুন জেনে নেয়া যাক এসিডিটি কেন হয়। তারপর না হয় সরাসরি চলে যাবো এসিডিটি দূর করার উপায়ে!
অ্যাসিড রিফ্লাক্স রোগের একটি অন্যতম কমন কারণ হল স্টোমাক অ্যাবনরমালিটি বা পেটের অস্বাভাবিকতা, যাকে হাইটাল হার্নিয়া (Hiatal hernia) বলা হয়।
যখন আপার পার্ট অব দ্যা স্টোমাক অথবা পেটের উপরের অংশ এবং লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার (LES) ডায়াফ্রামের উপরে চলে যায়, তখন একটি মাসেল বা পেশী স্টোমাককে ডায়াফ্রাম (বুক) থেকে আলাদা করে দেয়।
সাধারণত, ডায়াফ্রাম আমাদের পাকস্থলীতে এসিড রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার যদি হাইটাল হার্নিয়া থাকে, তাহলে এসিড আপনার খাদ্যনালীতে চলে যেতে পারে এবং এসিড রিফ্লাক্স রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও এসিডিটির আরও অনেক গুলো কারণ রয়েছে, কারণগুলি হল:
- এসিড হতে পারে এমন খাদ্য খাওয়া
- দ্রুত খাবার খাওয়া
- অনেক বেশী পরিমাণে খাবার খাওয়া এবং খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া
- অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া
- ভারী খাবার খেয়ে পিঠের উপর শুয়ে বা কোমরের দিকে ঝুঁকে পড়া
- রাতে সোয়ার আগে নাস্তা করা
- নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া। যেমনঃ চকলেট, সাইট্রাস, টমেটো, পুদিনা, রসুন, পেঁয়াজ বা মশলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার
- নির্দিষ্ট পানীয় পান করা। যেমনঃ অ্যালকোহল, কার্বনেটেড পানীয়, কফি বা চা
- ধূমপান করা
- গর্ভবতী হওয়া
- দুশ্চিন্তা করা
- অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, নির্দিষ্ট কিছু মাসেল রিলাক্সেন্ট বা পেশী শিথিলকারী ও রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করা ।
এসিডিটি দূর করার উপায়
যদি আপনি আপনার এসিডিটি দূর করতে চান তবে আপনি আমাদের দেয়া সেরা টিপ্স গুলো অনুসরণ করতে পারেন। নিচে এসিডিটি দূর করার সেরা উপায় গুলো দেয়া হল!
অল্প অল্প করে এবং ধীরে ধীরে খান

যখন পেট খুব পূর্ণ থাকে, তখন খাদ্যনালীতে আরও রিফ্লাক্স হতে পারে। যদি আপনি পারেন, তবে প্রতিদিন তিনবার বেশী করে খাবার খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। আর অবশ্যই খাবার খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে খাবেন। খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়া দাওয়াকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং খাওয়া দাওয়া পরিমাণে অল্প এবং ধীরে করতে বলেছিলেন। এবং খাওয়া বা আহার বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনেক গুলো হাদিসের মধ্যে দুটি প্রসিদ্ধ হাদিস রয়েছে! হাদিস দুটি হল…
হাদিস-১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জনের খাদ্য তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট। [মুসলিম ৩৬/৩৩, হাঃ ২০৫৮, আহমাদ ৭৩২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮৭)
সহিহ বুখারী- হাদিস নং: ৫৩৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
হাদিস- ২
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি রাতের খাবার পরিবেশিত হয় এবং ইকামাত দেয়া হয়, তাহলে তোমরা আগে খাবার খেয়ে নিবে। অন্য সনদে আইয়ূব, নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকেও অনুরূপ হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৫)
সহিহ বুখারী- হাদিস নং: ৫৪৬৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন

এসিডিটি দূর করার উপায় হিসেবে প্রধান যে উপায়টিকে গণ্য করা হয় তা হল নির্দিষ্ট কিছু খাবার পরিহার করা! কারণ এসিডিটি হবার সব থেকে প্রধান কারণ হল খাদ্যাভ্যাস।
এক সময় এসিডিটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েট থেকে সব ধরনের ব্লান্ডেস্ট খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হত। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। কিন্তু তারপরও এখনও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি রিফ্লাক্সকে একটু বেশিই ট্রিগার করে থাকে। যেমন- পুদিনা, চর্বিযুক্ত খাবার, মশলাদার খাবার, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, কফি, চা, চকলেট এবং অ্যালকোহল।
আপনি যদি এই খাবারগুলির মধ্যে যেকোনটি নিয়মিত খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সেগুলিকে প্রথমে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এবং এটি দেখতে পারেন যে তা আপনার রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণ করে কিনা। যে সব খাবার আপনার এসিডিটিকে বাড়ায় দিচ্ছে বলে মনে করবেন সেগুলোকে আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিবেন এবং যেগুলো এসিডিটিতে কোন প্রভাব ফেলছে না বলে মনে করবেন সেগুলোকে খাদ্য তালিকায় রেখে দিতে পারেন!
একটি খাদ্য জার্নাল রাখুন এবং ট্রিগার খাবার এড়িয়ে চলুন

আগেই বলেছি কিছু খাবার এবং পানীয় এর কারণে এসিডিটি বা অম্বল হতে পারে। আপনি একটি খাদ্য এবং উপসর্গ লগ রেখে নির্দিষ্ট খাবারগুলি সনাক্ত করার চেষ্টা করতে করতে পারেন যা আপনাকে সমস্যার সমাধান দিতে দিতে পারে। একবার আপনি সমস্যা যুক্ত খাবার গুলো সনাক্ত করার পরে, যথাসম্ভব এই খাবার এবং পানীয়গুলি এড়িয়ে চলুন।
খাওয়ার পর পরই ঘুমোতে যাবেন না

যখন আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, বা এমনকি বসে থাকেন, তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পাকস্থলীতে অ্যাসিড রাখতে সাহায্য করে, যেখানে মূলত অ্যাসিড থাকে। ঘুমোতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে অবশ্যই খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করুন। দুপুরের খাবারের পর ঘুমোতে যাবেন না, দেরীতে রাতের খাবার খাবেন না এবং মধ্যরাতের স্ন্যাকস বা নাস্তা খাবেন না।
খাওয়ার পর পরই খুব দ্রুত নড়াচড়া বা ব্যায়াম করবেন না

খাওয়ার পর কয়েক ঘন্টার মধ্যে জোরালো ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন। বিশেষত দুই ঘন্টার আগে তো নয়ই!। খাবার গ্রহনের পর খুব বেশী ব্যায়াম করা মোটেও উচিত হবে না, বিশেষ করে যদি ব্যায়ামে শরীর বাঁকানো লাগে। কারণ যদি আপনি খাবার খাওয়ার পর খুব বেশী ব্যায়াম করেন এবং আপনি আপনার শরীরকে বাঁকান তবে আপনার খাদ্যনালীতে অ্যাসিড চলে যেতে পারে। যার ফলে আপনার এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। অবশ্য রাতের খাবারের পরে সামান্য হাঁটা ভাল!
যদি পরামর্শ দেওয়া হয় তবে ওজন হ্রাস করুন

আপনার ওজন কমান। কারন বর্ধিত ওজন পেশী কাঠামোকে ছড়িয়ে দেয় যা নিম্ন খাদ্যনালী স্ফিঙ্কটারকে ধরে রাখতে সহযোগীতা করে। পেশী কাঠামো ছড়িয়ে যাবার কারণে স্ফিঙ্কটারের উপর চাপ কমে যায়, যার কারণে স্ফিঙ্কটার পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে না। ফলে এসিডিটি বা অম্বল বাড়ে।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন

ধূমপান মুখে উত্পাদিত লালার পরিমাণ হ্রাস করে এবং ভালভের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। মূলত ভাল্ভ স্টোমাক বা পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে। কিন্তু ধূমপানের ফলে ভাল্ভের কার্যকারিতা কমে যায় এবং এসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ধূমপান ত্যাগ করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা হ্রাস পায়। যার কারণে এসিডিটি চিরতরে দূর হয়ে যেতে পারে!
ঘুমের পজিশন ঠিক করুন

আদর্শগত ভাবে, সোয়ার পর মাথা পায়ের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উপরে থাকা উচিত। আপনি আপনার বিছানায় “Extra-tall” অথবা “অতিরিক্ত-লম্বা” বেড রাইজার ব্যবহার করে এটি অর্জন করতে পারেন। যদি আপনার সঙ্গী এটাতে আপত্তি করেন, তাহলে আপনার শরীরের উপরের অংশের জন্য একটি ফোম ওয়েজ সাপোর্ট ব্যবহার করাতে পারেন। বালিশ স্ট্যাক করে একটি কীলক তৈরি করার চেষ্টা করবেন না। এভাবে আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ হবে না।
মানসিক চাপ কমান

দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস আপনার শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল, হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়া এবং ব্যথার প্রতি আপনাকে আরও সংবেদনশীল করে তোলা। আপনার পাকস্থলীতে যত বেশি সময় ধরে খাবার থাকবে, পাকস্থলীর অ্যাসিড রিফ্লাক্স হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। অর্থাৎ তত বেশী আপনার এসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। উপরন্তু, ব্যথার প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়ার ফলে আপনি এসিডিটির ব্যথা আরও তীব্রভাবে অনুভব করতে পারবেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানো হতে পারে আপনার এসিডিটি দূর করার এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঊপায়!
ওষুধ পরীক্ষা করুন

আপনি এই মুহূর্তে যে ওষুধ গুলো খাচ্ছেন সেগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ, এমন অনেক ওষুধ আছে যেগুলোর কারণে আপনার এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। তার মধ্যে পোস্টমেনোপজাল ইস্ট্রোজেন, ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ব্যথানাশক অন্যতম। এগুলো স্ফিঙ্কটারকে রিল্যাক্স বা শিথিল করে, ফলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে!
এসিডিটি দূর করার উপায় এর ব্যাপারে শেষ কথা
যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনার এসিডিটি দূর না হয়। অথবা আপনার যদি গুরুতর পেটে বা বুকে ব্যথা হয় বা গিলতে অসুবিধা হয়, তবে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এসিডিটি দূর করার উপায় গুলো অনুসরণ করার পরও এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার অর্থ আপনার রোগটি সম্ভবত গুরুতর পর্যায়ে গিয়েছে যার কারণে আপনার আরও ভিন্ন ভিন্ন ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। আর এই কারণেই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরও পড়ুন… উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় |
DDD