মানসিক রোগ, যাকে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধিও বলা হয়। মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে মেজাজ খিটখিটে হওয়া, চিন্তাভাবনা এবং আচার-আচরণ এলোমেলো হওয়া অন্যতম। মানসিক রোগের উদাহরণ গুলির মধ্যে রয়েছে হতাশা, উদ্বেগজনিত ব্যাধি, সিজোফ্রেনিয়া, খাওয়ার ব্যাধি এবং আসক্তিমূলক আচরণ। অনেকের আবার নিজেদের মধ্যে মাঝে মাঝে মানসিক রোগের উদ্বেগ তৈরি হয়ে থাকে। তারা মনে করেন যে তারা মানসিক রুগীতে পরিণত হয়েছেন বা হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, সঠিকটা হল, যখন মানসিক রোগ হয় তখন মানসিক রোগের নানান লক্ষণ অথবা উপসর্গগুলি দেখতে পাওয়া যায় এবং কাজ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। মানসিক রোগ আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে যেমন স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মানসিক রোগের চিকিৎসা ওষুধ এবং সাইকোথেরাপি এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ
যেকোনো মানুষেরই মানসিক রোগ হতে পারে। আর এই রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে রোগীর মধ্যে অবশ্যই কিছু শারীরিক লক্ষণ থাকতে হবে। আর মানসিক রোগের সেই শারীরিক লক্ষণগুলো আপনাদের সুবিদার্থে নিচে পয়েন্ট আকারে দেয়া হল।
- শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বা মাংশপেশি স্থলে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
- পেট বা বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে ]।
- নিজ দেহের মধ্যে অন্য কারো উপস্থিতি অনুভব করা। যেমনঃ আত্মীয় বা কাছের কোন ব্যক্তি।
- ক্ষুধামন্দা বা কম খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া।
- ঘন ঘন বদহজম হওয়া।
- ঘুম কমে যাওয়া।
- অস্থিরতা অনুভব হওয়া।
- দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া।
- ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হওয়া।
- দৈনন্দিন কাজের স্পৃহা কমে যাওয়া।
- ভ্রমনে সমস্যা অনুভব করা যেটা হয়তো ইতিপূর্বে ছিল না।
- মানসিক সমস্যা আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষুধামন্দা হওয়ার কারনে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে পারেন না। ফলশ্রুতিত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। এটিও মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি।
- নিদ্রাহীনতার ফলে শারীরিক অস্থিরতা হওয়া।
- বিভিন্ন ধরনের নিউরোলজিকাল সমস্যা হওয়া।
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই সমস্যা ধরে না রেখে ডাক্তারের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে চিকিৎসা করে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজার চেষ্টা করা উচিত। চিকিৎসা ও পরামর্শের মাধ্যমে মানসিক সমস্যা ও তার শারীরিক লক্ষণগুলি নির্ণয় করে সেগুলি সমাধান করা যেতে পারে। এছাড়া শারীরিক স্বস্তি বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, যথাসময়ে খাদ্য এবং অতিরিক্ত শব্দমাত্রা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
আরও পড়তে পারেন… মানসিক রোগের ডাক্তার এর তালিকা |